নিউজ ডেস্ক : অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ডুবছে শ্রীলঙ্কা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ, কালি, কাগজ পাওয়াও দুষ্কর। সবকিছুই মহার্ঘ হয়ে পড়েছে সে দেশে। নানা দেশ থেকে ঋণ নিয়ে সেগুলো শোধ করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে। ফল ভুগতে হচ্ছে দেশটিকে।ভারতের গণমাধ্যম এই সময় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে নেপালেরও। কারণ এই দেশটিরও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ হঠাৎ করেই কমে গেছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্ট। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি বিলাসী পণ্যের আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।এই বিলাসী পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোনা, গাড়ি ও কসমেটিকস দ্রব্যও। জানা যাচ্ছে, বিদেশে যে নেপালিরা থাকেন, তারা হঠাৎ করেই দেশে কম বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো শুরু করতে ও পর্যটন থেকে আয় কমতেই দেশের ভাঁড়ারে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ।যদিও নেপালের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেপালের অর্থমন্ত্রী জনার্দন শর্মা। তিনি এই তুলনাকে রীতিমতো ‘শকিং’ বলে দাবি করেছেন। জানা গেছে, গত সপ্তাহেই সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কেন তাকে সরানো হল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার গত কয়েক মাসে ১৬ শতাংশ কমে গেছে। যে নেপালিরা বিদেশে কাজ করেন, গত কয়েক মাস ধরে তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় পাঁচ শতাংশ কমে গেছে। ফলে ধাক্কা খেয়েছে প্রতিবেশী পর্বতময় দেশটি।যদিও ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নেপাল। কোনও ভাবেই যেন বেগতিক অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নেপালের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের ঋণ অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম। তাই এ নিয়ে মাথাব্যাথার প্রয়োজন নেই। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমি এই ভেবে অবাক হচ্ছি যে, সকলে কীভাবে এই অবস্থাকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করতে পারে!