সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগ এনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে আদালতে মামলার আবেদন গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।বুধবার (২ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াজিদুজ্জামান শিকদার এ রায় দেন।নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর খায়রুল কবির রুমেন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত উজির মিয়ার স্বজনরা পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে করে ৪ ঘণ্টাব্যাপী পাগলা বাজারে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করেন।গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গরু চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে নিজ বাড়ি থেকে নিহত উজির মিয়াকে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে জামিন পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ২১ ফেব্রুয়ারি উজির মিয়া নিজ বাড়িতে অসুস্থতা আরও বাড়লে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উজির মিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগে শান্তিগঞ্জ থানার এস আই দেবাশীষ সুত্রধরকে ক্লোজড করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।প্রসঙ্গত, উজির মিয়াকে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেফতারের সময় সাবইন্সপেক্টর দেবাশীষ সুত্রধর ও তখনকার দায়িত্ব প্রাপ্ত (ওসি) আলাউদ্দিন এসআই পার্ডন কুমার সিংহ ও এএসআই আক্তারুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উজির মিয়াকে মারধরের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। গ্রেফতারের সময় এসআই দেবাশীষ উজির মিয়ার মাথায় আঘাত করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।