নিলামে ইভ্যালির ৭ গাড়ি কিনলেন যারা

নিলামে ইভ্যালির ৭ গাড়ি কিনলেন যারা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির রেঞ্জ রোবার গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। নিলামে ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটির দর হাকিয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে এক কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার সর্বোচ্চ দর হাকিয়ে গাড়িটি কিনে নেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। নিলামের শুরুতে গাড়িটির ন্যূনতম নিলাম দর এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল।

ইভ্যালির টয়োটা প্রিউস প্রাইভেটকারটি বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। মোহাম্মদ রিপন ইসলাম নামে এক ক্রেতা এ দর দিয়ে গাড়িটি কেনেন।

ইভ্যালির টয়োটা সিএইচআর মডেলের গাড়িটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রশান্ত ভৌমিক নামে একজন ক্রেতা এ দর হাকিয়ে গাড়িটি কেনেন। গাড়িটির ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা।

টয়োটা এক্সিও মডেলের গাড়িটি বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। আবুল হাসনাত রাসেল নামে এক ক্রেতা গাড়িটি নিলামে সর্বোচ্চ এ দর হাকিয়ে কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তিমূল্য ছিল নয় লাখ ১৮ হাজার টাকা।

টয়োটা এক্সিও মডেলের দ্বিতীয় গাড়িটি নিলানে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৫ লাখ টাকা। নিলামে গাড়িটির ভিত্তিমূল্য ছিল নয় লাখ ১৮ হাজার টাকা। গাড়িটি এ সর্বোচ্চ মূল দিয়ে কিনেছেন প্রশান্ত ভৌমিক। এ নিয়ে আজকের নিলামে দুটি গাড়ি কিনেছেন তিনি।  ইভ্যালির হোন্ডা ভেসেল গাড়িটির নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আজকের নিলামের একমাত্র মেয়ে ক্রেতা কানিজ ফাতিমা ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা দর হাকিয়ে গাড়িটি কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তিমূল্য ছিল ১৬ লাখ টাকা।  নিলামে সর্বশেষ উঠে ইভ্যালির টয়োটা ব্যান্ডের মাইক্রোবাসটি। নিলামে মাইক্রোবাসটির সর্বোচ্চ মূল উঠে ২০ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ দর হাকিয়ে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন নামে এক ক্রেতা গাড়িটি কিনেছেন। নিলামে গাড়িটির ভিত্তিমূল্য ছিল ১২ লাখ টাকা।ইভ্যালির পরিচালনা পরিষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, নিলাম খুব সুন্দর হয়েছে। গাড়ির যে মূল পেয়েছি তাতে আমরা খুশি। আমরা নিলামে সাতটি গাড়ি দুই কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।নিলামের সার্বিক বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাটের জন্য নিলামে গাড়ি কেনা একাধিক মালিক কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ক্রেতারা বলছেন, শোরুম থেকে গাড়িগুলো কিনলে অতিরিক্ত এ ভ্যাট দিতে হতো না। নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে ভ্যাটের টাকা চলে আসতো। কিন্তু এখানে নিলামের নির্ধারিত দাম পরিশোধের পরেও অতিরিক্ত সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তবে এ টাকাটা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছে যাবে সেক্ষেত্রে তারা এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন