মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তিনজন মহিলা সদস্যসহ ৯ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।নির্বাচনে যাতে সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকে নির্বাচনী আইনে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা রাখার প্রস্তাব দেন প্রতিনিধিদল।আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে সুস্থ রাজনীতি অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলো পরিচালনায় সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে যাতে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।প্রথম দিনে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, গণফোরাম, বিকল্পধারাসহ ১৫টি রাজনৈতিক দলের আলোচনা করেছেন তিনি।সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। সার্চ কমিটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বাছাই করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা। নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।