অপরদিকে ঢাবির নারী নেত্রীরা হোটেলে রাত কাটায়সহ নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জেসমিন শান্তা। তিনি লিখেছেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসা কোনো ব্যক্তির মুখের ভাষার এই শ্রী শুনে মনে হচ্ছে আমরা দেউলিয়া হওয়ার দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এসব নিয়ে কথা বলার রুচি আসলেই নেই। কিন্তু ডোন্ট কেয়ার মুডে থাকলে বা নিরব থাকলে সমাজের অতি বুঝদার শ্রেণি মনে করে অপরাধী তাই হয়ত চুপ মেরে আছে। আর কথা আমাদেরই বলতে হবে, নয়ত এসব ফালতু লোকদের মুখ দিয়ে বের হওয়া বিষে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এই লোক এত বড় স্পর্ধা নিয়ে কথা বলে যদি বহাল তবিয়াতে থাকে, তাহলে দলের সবাইকে বলছি রাজনীতি করা একটি মেয়েও যদি নৈতিক, চরিত্রবান থেকে থাকেন তার দীর্ঘশ্বাস থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রতিমন্ত্রী একজনকে ইঙ্গিত করে কথা বলেননি, বলেছেন সব মেয়েকে নিয়ে, যারা রাজনীতি করে। আমি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদে আছি, আমি একক কোনো মেয়ে না, ছাত্রলীগের হাজার হাজার মেয়ের প্রতিনিধি। আমি আমার অবস্থান থেকে জানতে চাই কোন সাহসে আপনি এভাবে মেয়েদের বা ছাত্রলীগের মেয়েদের দিকে এ ধরনের তকমা ছুঁড়ে দিয়ে কথা বললেন?
জেসমিন শান্তা আরও লিখেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রীসাব চাওয়া বা যোগ্যতার চেয়ে বেশি পেয়ে গেছেন তাই হজম না হয়ে বদ হজম হওয়াতেই এসব কথাবার্তা বলছেন। আপনার রিহ্যাবে যাওয়া উচিত। মিনিমাম গার্ডস থাকলে আপনি রোকেয়া হল বা শামসুননাহার হলের মেয়েদের সামনে আসুন, আপনাকে যথাপোযুক্ত ভাষা শিখিয়ে দেব। আপনাকে সাইকো ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। আর বাতুল লোক সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদে থাকার যোগ্য নয়। ’‘আপনার যে মুখের ভাষা সে মুখে পবিত্র জয় বাংলার কথা শুনলে লজ্জা, ঘৃণা ও ক্রোধ হয়। প্রেসের মাধ্যমে এই বিশিষ্টের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাই। ’এছাড়া ঢাবির শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনে নামার কথাও বলছেন।