স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে (পিএনজি) বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেল ওমান।ওমানের রাজধানী মাসকটের আল আমেরাত গ্রাউন্ডে প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচে রোববার ১০ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা।শুরুতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় পিএনজি। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয় ওমান। ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে এটি কোনো উইকেট না হারিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্য পার করার রেকর্ড এবং এই ফরম্যাটে ওমানের সর্বোচ্চ জুটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পিএনজির বোলারদের রীতিমত তুলোধোনা করেন ওমানের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও জতিন্দর সিং। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুজনেই তুলে নেন ফিফটিও। এর মধ্যে জতিন্দরের ফিফটি বিশ্বকাপে কোনো ওমানি ব্যাটারের প্রথম। ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া জতিন্দর ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।দলের নিশ্চিতের ওভারে ফিফটি তুলে নেন আকিবও। বিশ্বকাপের আসরে কোনো ওমানি ব্যাটারের এটি দ্বিতীয় ফিফটি। ৪৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকার পথে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাত্র ১টি, চার ৫টি। তবে জতিন্দর ছিলেন তুলনামূলক আগ্রাসী। ৪২ বলে অপরাজিত ৭৩ রান করার পথে তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। এর আগে টসে জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক ওমান। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামা পাপুয়া নিউগিনি ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায়। স্কোর বোর্ডে কোনো রান জমা করার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার টনি উরা ও লেগা সিয়াকা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উরাকে আউট করে ওমানকে ব্রেক থ্রু উপহার দেন পেসার বিলাল খান। ঠিক পরের ওভারে পিএনজির অন্য ওপেনার লেগা সিয়াকাকে আউট করেন ওমানের আরেক পেসার খালিমুল্লাহ।শুরুর ওই বিপর্যয়ের পর অধিনায়ক আসাদ ও চার্লস আমিনির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওমান। দুজনে মিলে যোগ করেন ৮১ রান। দলকে ৮১ রানে রেখে চার্লস (৩৭) বিদায় নিলেও আসাদ তুলে নেন চলতি আসরের প্রথম ফিফটি। দলকে শতরানের কোটা পার করে বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৫৬ রান, যা চলতি আসরের প্রথম ফিফটি। ইনিংসটি তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজিয়েছেন।অধিনায়কের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পিএনজির প্রতিরোধ। পরের ১৬ রানেই দলটি আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে বলার মতো রান আসে কেবল সেসে ভাউয়ের (১৩) ব্যাট থেকে)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পিএনজির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৯ রান।বল হাতে ওমানের জিশান মাকসুদ ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া বিলাল খান ও কলিমুল্লাহ নেন ২টি করে উইকেট।