টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চৌধুরীবাড়িতে প্রায় ৮৯ বছর আগে বাংলা ১৩৩৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় উঝা ঠাকুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির। প্রতিবছরই ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় দুর্গাপূজা।পাশেই মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর নির্মাণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরীবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।একইস্থানে মসজিদ আর মন্দির নিয়ে কখনো কারো কোনো সমস্যা হয়নি। বরং সবাই মিলে-মিশে নিজেদের ধর্ম পালন করছেন। সরেজমনি নাগরপুর চৌধুরীবাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদ ও দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১১টা, চলছে পূজা মণ্ডপের উলুধ্বনি, গান-বাজনা। দর্শনার্থীরা আসছেন প্রতিমা দেখতে। সেখানে থাকতে থাকতেই দুপুর সোয়া একটায় থেমে গেল পূজার কার্যক্রম। এরপরই বলা হলো আজান এবং নামাজের পর আবার মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পাশের মসজিদ থেকে ভেসে এলো আজানের সুর। নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ উলুধ্বনি।উঝা ঠাকুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার সাহা পোদ্দার জানান, ৮৯ বছর আগে এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এ মন্দিরের নামকরণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরীবাড়ি উঝা ঠাকুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির। মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর এখানকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মন্দিরের পাশেই প্রতিষ্ঠা করেন নাগরপুর চৌধুরীবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। এরপর থেকেই পাশাপাশি চলছে দুই ধর্মের দুই উপাসনালয়ের কার্যক্রম। তিনি জানান, আজানের সময় থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি বন্ধ থাকে। নামাজ শেষ হলে মন্দিরের কার্যক্রম আবার শুরু করা হয়। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়, কোনো দিন কোনো বিশৃংখলা হয়নি দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে।নাগরপুর চৌধুরীবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা খন্দকার কামরুল হুদা রওশন জানান, মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৮৪ সালের পর। চার দশক ধরে পাশাপাশি চলছে নামাজ ও পূজা।