নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ২৭৭ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৬২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন। মৃত ২৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও ১ জন নারী। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩২৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৪টি। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৭ শনাক্ত এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে দুই জন, সিলেট বিভাগে দুই জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চার জন এবং বাড়িতে একজন মারা যান। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আট জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৩৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৭৮ হাজার ১০৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৪ হাজার ১০২ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।