আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫ বছরের কিশোর তারেক জুবাইদি। বাড়ির পাশের একটি পাহাড়ের চূড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সে।সেখান থেকেই তাকে আটক করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। পরে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের কথা স্মরণ হলে এখনো কেঁপে ওঠে ফিলিস্তিনি এই কিশোর। এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি সে। ওই হামলার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এখনও বেশিরভাগ সময় বিছানায় কাটছে তারেক জুবাইদির। পায়ের ক্ষত কিছুটা সেড়ে উঠলেও বাইরে চলাচল করতে সে ভয় পায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তারেককে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারী বাহিনী। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, তার পায়ের তলা পুড়িয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি-কে তারেক জানায়, ‘সেই হামলাকারীদের কথা মনে হলেই আমি ঘামতে শুরু করি এবং আমার হৃদস্পন্দন বাড়তে শুরু করে। ’ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা জুবাইদির অভিযোগের বিষয়গুলো যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। তবে তারা স্বীকার করে, ‘এটা স্পষ্ট যে, ছেলেটি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ’ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ফিলিস্তিনিদের পাথর নিক্ষেপের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীকে হোমেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।তবে তারেক জানায়, পাথর নিক্ষেপের বিষয়ে সে কিছুই জানে না। বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে আড্ডা দেওয়ার সময় তাকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর চলে নির্যাতন। ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারেকের মা হানান জুবাইদি আশঙ্কা করেছিলেন যে, সে হয়তো আর ছেলেকে দেখতে পাবেন না।তিনি বলেন, ‘ছেলে আমাকে জানিয়েছে, তাকে ইসরায়েলি বাহিনী নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। আমি তাকে জীবিত দেখব, সে আশা করিনি। ’