নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে উদ্ধার হওয়া নৌকার মাঝি আরজু ফকির (২৭) হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি বাইজিদ বোস্তামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রোববার (২৯ আগস্ট) দিনগত রাতে গুরুদাসপুরের বেড় গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।অভিযুক্ত বাইজিদ বোস্তামি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, প্রেমে বাধা দিয়ে তাদের তিন বন্ধুকে লাঞ্ছিত করায় প্রতিশোধ নিতেই আরজু মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা করে বিলের পানিতে ভাসিয়ে দেয় তারা।সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। নিহত আরজু জেলার সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের কদম আলীর ছেলে। গ্রেফতার বাইজিদ বোস্তামি উপজেলার বিলহরিবাড়ী গ্রামের নাসির বোস্তামির ছেলে।পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ৭/৮ মাস আগে নৌকার মাঝি আরজু ফকির এলাকার একটি নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এরপর আরজুর সঙ্গে বাইজিদ বোস্তামি ও তার বন্ধুদের বিরোধ শুরু হয়। এতে বাইজিদ ও তার বন্ধুরা সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।একই সঙ্গে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে তারা। এরই জেরে গত ২৬ আগস্ট আরজু ফকিরের নৌকাটি বেড়ানোর কথা বলে ভাড়া করে বাইজিদ ও তার বন্ধুরা। একপর্যায়ে নৌকাটি নির্জন স্থানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে আরজু ফকিরের মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বিলের পানিতে ভাসিয়ে দেয়।দিন শেষে আরজু ফকির বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা কদম আলী সিংড়া থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযানে নেমে দুই দিন পর গুরুদাসপুরের বিলশা গ্রামের বিলের পানি থেকে আরজু ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করে।পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাইজিদ বোস্তামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করছে না পুলিশ।প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, সিংড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল আকতার, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।