সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, মীরজাফরেরা আজও সক্রিয় আছে। তারা পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্ট আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আজ সেই মীরজাফরেরা চট্টগ্রামের ফুসফুস সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, বীর চট্টলার নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে লাঠি হাতে নিয়েছিলেন, তার মধ্যে অনেক লাঠি আমার কাছে রেখে গেছেন। সেই লাঠিগুলো মা-বোনদের হাতে তুলে দেব। তারপর নাগরিক সমাজের সঙ্গে সিআরবি রক্ষায় এখানে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর শক্তিশালী ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও সৌন্দর্যহানি করার জন্য মহল বিশেষ দীর্ঘকাল ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। নগরীর পাহাড় কর্তন এবং পুকুর, ডোবা-নালা ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে জলাবদ্ধতার মতো একটি অভিশাপ আজ প্রকট হয়ে উঠেছে। একইভাবে চট্টগ্রামের ফুসফুস বলে পরিচিত সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য মহল বিশেষের প্রভাব ও চক্রান্ত আজ আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণের জন্য হাসপাতাল হোক এবং এ হাসপাতাল করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর, রেল এমনকি সিটি করপোরেশনের অব্যবহৃত অনেক জায়গা আছে। সে সব জায়গায় বড় বড় হাসপাতাল হতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ও নিবন্ধিত সিআরবিতে নয়। আশা করি আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়টি অবহিত করতে পারলে তিনি কখনোই সিআরবিতে হাসপাতাল হোক চাইবেন না। কারণ তিনি প্রকৃতিবান্ধব এবং বৈশ্বিক জলবায়ু দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিশ্ব খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। তাই আমাদের কিছুতেই আশাহত হলে চলবে না। আমরা যারা মানুষের সুখ, দুঃখ, বেদনা, আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের মনে রাখতে হবে সত্য সবসময় চিরজাগ্রত। তিনি প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু স্থান কোথায় হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি। অবাক লাগে সিআরবিতে এ হাসপাতাল করার পেছনে যারা উঠে পড়ে লেগেছেন তাদের স্বার্থটা কী? আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না বর্তমান সরকারকে গণবিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি অশুভ শক্তি চক্রান্ত করছে। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবোই।নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাবেক ছাত্রনেতা মো. শাহজাহান চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, স্বপন মজুমদার প্রমুখ।চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর নীলু নাগের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মমতাজ খান, মালেকা চৌধুরী, হাসিনা আক্তার টুনু, শারমিন ফারুক, হুরে আরা বিউটি, লায়লা আক্তার এটলী, আঞ্জুমান আরা, তসলিমা নূরজাহান রুবি, আয়েশা ইব্রাহিম, উম্মে হাবিবা গিয়াস, জেনিফার আলম, কান্তা ইসলাম মিনু। উপস্থিত ছিলেন আয়েশা আক্তার পান্না, নন্দিতা দাশগুপ্তা, শিরীন আখতার শিল্পী, রোমান ওয়াসিম, লাভলী বেগম, মনোয়ারা বেগম মনি, ফেরদৌস আরা, আয়েশা আলম, অ্যাডভোকেট সীমা আকতার, সোমা চৌধুরী, শিল্পী বড়ুয়া, শেলী দে, ময়না বেগম, অ্যাডভোকেট জোবাইদা সরওয়ার চৌধুরী, মনীষা সেন, সানিয়া কবির সানি, চেমন আরা, আয়েশা বেগম প্রমুখ।