নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭-৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।এজেন্ডার বাইরে কোভিড-১৯ এবং ভ্যাকসিনেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমে গেছে। গতকালও দেখলাম ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে, যেটা ৩২-এ উঠেছিল। পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কমেছে, যেটা আগে প্রায় ৩০০ হয়েছিল। এখন ১২০-এ নেমেছে পরশু। রোববার ২২ আগস্ট আবার একটু বেড়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনেশন বজায় আছে। ভ্যাকসিনেশন এখন শহরে বেশি। কারণ মর্ডান ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ আমাদের হাতে আছে। সিনোভ্যাকেরও দ্বিতীয় ডোজ আমাদের হাতে আছে। ২১ আগস্ট অ্যাস্ট্রেজেনিকা পেয়েছি। আমরা আশা করি এ মাসের শেষে ফাইজারের ভ্যাকসিন পাবো। যেটা আমাদের ৬০ লাখ দেওয়ার কথা। আর সেপ্টেম্বরে পুরোটা পেয়ে যাবো। চীনের সিনোফার্মা এ মাসের শেষে ১০ লাখ পাবো।ভ্যাকসিনের আপডেট তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১০-১৫ দিনে ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমাদের কাজ হয়েছে এবং অনেক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চীনে নতুন করে ছয় কোটি ডোজের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তার আগে দেড় কোটির আর্ডার ছিল, মোট সাড়ে সাত কোটি।ডব্লিউএইচও থেকে অফার দেওয়া হয়েছে, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবো কিনা। সেগুলো আমাদের কিনে নিতে হবে। আমরা সেখান থেকে তিন কোটি সিনোফার্ম টিকা পাবো। আরও সাড়ে সাত কোটি ফাইজারের টিকা বিনামূল্যে আসবে।যেভাবে ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি ডব্লিউএইচও থেকে পেয়েছি তাতে আগামীতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের খুব একটা অভাব দেখা দেবে না। আমরা ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে গেলে আট কোটি মানুষকে দিতে পারবো। এগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে কিছু বিনামূল্যে আসবে। আমরা আশা করি জানুয়ারি-ফেব্রুয়রির মধ্যে ৭-৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করতে পারবো। আরও বেশিও করে ফেলতে পারি।