রাজশাহী: রাজকুমার কোনো রাজার পুত্র নন। একজন কৃষক।নামে আধিপত্য থাকলেও বাস্তব জীবনে তার ছিটেফোঁটাও নেই। অল্প বয়সে সঙ্গিনীকে হারিয়ে জীবন গল্পে পিছিয়ে আছেন। এখন আট বছরের এক মেয়েকে বড় করার স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে আছেন। কিন্তু দরিদ্রতার ফাঁদ ঘিরে ধরেছে তাকে। কৃষক রাজকুমার মেয়েকে নিয়ে কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। তাদের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে কালের কন্ঠ শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। খাবার পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি। রাজকুমার বলেন, ‘অভাবের দিনে আমাদের খাবার দিছেন। অনেক উপকার হইছে। আপনারা দুধে-ভাতে থাকেন’।বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ২৮টি গ্রামের ৩০০ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে কালের কন্ঠ শুভসংঘ।সোমবার (২৩ আগস্ট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার ২ নম্বর বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা দেওয়া হয়।জিল্লুর রহমান নামের এক উপকারভোগী বলেন, ‘আমি এক্সিডেন্ট কইরা খোঁড়া হইয়া গেছি। এহন (এখন) কোনো কাম করতে পারছি না। একজনের জমি দেখাশোনা করি। আমারে কিছু টাকা দেয়। আর বয়স্ক ভাতা দিয়াই কষ্ট করে চলি। আজ আপনারা সাহায্য দিলেন। এডা (এটা) দিয়া কিছুদিন খাইতে পারবো’।খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন অসহায়, সেই সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশে অনেক বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু এই অসময়ে সবাই এগিয়ে আসেনি, বসুন্ধরা গ্রুপ এসেছে। তাদের এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আজকে আমাদের এলাকার ২৮টি গ্রামের অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। তাই আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারা যেন সামনেও আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারেন সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- কালের কন্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কন্ঠর পাবনা জেলা প্রতিনিধি আহমেদ উল হক রানা, নিজস্ব ফটো সাংবাদিক সালাউদ্দিন, নিউজ টুয়েন্টিফোরের এসএ বাপ্পী, আতিকুল ইসলাম কৌশিক, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুল হক, ওয়াহেদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, দেলোয়ার হোসেন, মতিউর রহমান, আবুল হোসেন, কোরমান প্রমুখ।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।