বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনকে কর্মীদের হয়রানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় নগরের কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি।মেয়র বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বউদ্যোগে আজ যে মানববন্ধন করেছেন, আমি তাদের আবেগের কথা শুনেছি, তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজ যে মানববন্ধন হয়েছে তা দেখে আমার চোখে পানি এসে গেছে। আমি এর আগে সবসময় দেখেছি সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মেয়রদের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়ান। আমি জনগণের মন জয় করতে পারছি কিনা জানি না, তবে অন্তত আমার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মন জয় করতে পেরেছি, এটা বুঝতে পেরেছি।তিনি বলেন, আমি এটাই বলতে চাই—বরিশালের জনগণ অপরাধ করেনি। ময়লা যদি পরিষ্কার না হয় তাহলে তারা দুর্ভোগ পোহাবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা পরিচ্ছন্নতার কাজটি যেন চালিয়ে যান, আর প্রশাসনের প্রতি আহ্বান—তাদের বাসায় বাসায় তল্লাশি করবেন না। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধাগ্রস্ত হলে জনগণের সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। যারা ভয়ে বাসায় আসছেন না, তাদের বলবো—বাসায় আসেন, কাজে যোগ দেন।সাদিক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, সত্য কখনো চাপা থাকে না। আমি আগেই বলেছি—অন্যায় করে থাকলে আমার এই চেয়ারে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমি সবসময় বলি—আওয়ামী লীগ আছে আমি সাদিক আব্দুল্লাহ আছি, না থাকলে আমিও নাই। আমার কারণে আওয়ামী লীগের ক্ষতি কোনোদিন চাইবো না। আমার কারণে এগুলো হয়ে থাকলে আমি চলে যাবো। শোকের মাস চলছে, এই মাসে আমাদের পরিবারের অনেককে হারিয়েছি। আমার মনে ও আমার বাবার মনে কী চলছে তা আমি বুঝি। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কাম্য ছিল না।মেয়র বলেন, আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাচ্ছি। যেটা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগও চাচ্ছে। পুরো ৩ ঘণ্টার ভিডিও প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। আজ দেশ ও বরিশালের মানুষের স্বার্থে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। আমার অপরাধ হয়ে থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই বিচার করবেন।তিনি বলেন, ইউএনও সরকারি চাকুরি করেন। নগরে দলীয় ব্যানার লাগানো এবং খোলা আমাদের কাজ, তার তো নয়।গ্রেফতার আতঙ্কের বিষয়ে সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি কিনা তা সবাই জানে। আমি অন্যায় করলে তার বিচার অবশ্যই করবেন। আমাকে যদি গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আমার বাসা ঘেরাও করতে হবে না। আমাকে সারা দেশের মানুষ চেনে, আমাকে বললেই আমি থানায় চলে যাবো।বরিশাল সিটির মেয়র আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের কথা আমি বার বার বলে আসছি। তবে এ বিষয়ে দলের সিনিয়ররা বলবেন। তাই আমি মনে করি এ ঘটনার দরকার ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ১৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস করেছিলেন। কিন্তু তার কাজ আমি করতে পারিনি। কারণ, সেটার টাকা এখনো আমরা পাইনি। তারপরও সিটি করপোরেশনের কাজ আমি চালিয়ে নিচ্ছি। কোন দুর্নীতি নেই এখানে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।