সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতন্ শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল সেই সব সম্পাদকদের গ্রেফতারের দাবি করছি আমরা। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আপনারা এদের মুখোশ উন্মোচন করুন। ওরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র বেছে নিয়েছিল, এখনো যেসব ষড়যন্ত্র করছে, সেই সব ষড়যন্ত্র দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ করুন। এদেরকে আইনের আওতায় আনুন।
বুলবুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার অনেক শক্তিশালী। আপনারা জানেন মাহফুজ আনাম তার দোষ স্বীকার করেছিলেন। তিনি না বুঝে একটি কলাম ছাপিয়েছিলেন। সে সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি। তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, এখনো পর্যন্ত তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন রেখে বুলবুল বলেন, মাহফুজ আনামরা কি রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী, যদি তারা রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের হাতে রাষ্ট্র তুলে দিন। রাষ্ট্রব্যবস্থার চেয়ে কোনো শক্তিশালী ব্যক্তি হতে পারে না। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আপনাদেরকে দিয়ে রাখা হয়েছে। আজকে যারা সরকারে বসে আছেন, তাদের উচিত যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সভাপতি বলেন, গ্রেনেড হামলায় বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে আমরা মনে করি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যার প্রত্যক্ষ মদদে এই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তাকেও এই মামলার আসামি করা উচিত। কারণ খালেদা জিয়া নিজেই চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য। কারণ তারা জানে, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে খুনী জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আপনার মধ্যে যদি দেশপ্রেম থাকে তাহলে দেশে আসুন। রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলা করুন। বাংলার মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনাদের ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ইলেভেন ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ষড়যনন্ত্রের নিন্দা জানাচ্ছি এর পাশাপাশি যে দুই সম্পাদক রয়েছে- মাহফুজ আনাম ও মতিউর রহমান, এদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, মাহফুজ আনাম টকশোতে গিয়ে স্বীকার করেছেন, সেই সময় ডিজিএফআই এর দেওয়া তথ্য যাছাই বাছাই না করে প্রকাশ করেছিলেন। এর মানে হলো মাহফুজ আনাম হলুদ সাংবাদিকতা করেছেন। আমাদের সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের প্রতি কোনো সম্মান, শ্রদ্ধা নেই। কারণ তারা হলুদ সাংবাদিকতা করেছেন। আমরা এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে তদন্ত দাবি করছি। একইসঙ্গে ডেইলি স্টার পরিচালনা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাবো যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশের জন্য ডেইলি স্টার থেকে তাকে বহিষ্কার করা হোক। সম্পাদক থেকে অপসারণ করা হোক। তাদের অপকর্মের দায়ভার ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো পরিবার নিতে পারে না।