গণমাধ্যম নিয়ে তালেবান সরকার তাদের অবস্থান জানিয়েছে। আফগানিস্তানে গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ কি- এমন প্রশ্নের উত্তরে আফগানিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টোলো নিউজ এজেন্সির সাবেক এই সাংবাদিক বলেন, আফগানিস্তানে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ এখনও অজানা। অনেক বেসরকারি মিডিয়া দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিভি এবং রেডিওই তালেবান সরকারের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাবে।
তালেবান শাসনামলে নারীর অধিকার নিশ্চিত হবে কি-না জানতে চাইলে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী এই সাংবাদিক বলেন, আফগানিস্তানে নারী ও সমাজ কর্মীদের অধিকার তালেবান সরকার কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।
আমরা দেখতে পাচ্ছি তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেক মানুষ দেশ ছাড়ছে। কেন তারা দেশ ছাড়ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকেই তালেবান শাসনের অধীনে থাকতে চাইছেন না। অনেকেই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখছেন। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, তালেবান সরকার চরমপন্থী সরকার হতে পারে। তাই অনেকেই দেশ ছাড়তে চাইছেন।
বিশ বছর আগেও তালেবানরা আফগানিস্তান শাসন করেছে। তখনকার তালেবান ও এখনকার তালেবানদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, তালেবানদের মাইন্ডসেটে খুব একটা পরিবর্তন এসেছে।
তাহলে তালেবানের এই সময়ে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কী?
উত্তরে রেজওয়ান বলেন, ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে খাদ্যাভাব হতে পারে। কেননা বিভিন্ন অঞ্চলে খরা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে বেকারত্বের হার বাড়তে পারে। বিদেশি বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। আবার গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।