ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল শিক্ষক নামের কলঙ্ক। গণপিটুনি দিয়ে আসিফ নজরুল গংদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে বিতাড়িত করা হবে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কাবুল বিমানবন্দর প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের দেওয়া স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।বুধবার (১৮ আগস্ট) শহীদ মিনারে ‘১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি। কিন্তু আপনি (আসিফ নজরুল) বারবার সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বাসায় বসে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন। আপনার যদি পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে পাসপোর্ট করে পাকিস্তান চলে যান।সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শিক্ষক জাতির বিবেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে আমরা দেশপ্রেম, প্রগতিশীলতার চর্চা শিখেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই অগণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রলীগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে থাকেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তিনি বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবির ও জঙ্গি বাহিনী নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। তালেবানি আদর্শপুষ্ট বিএনপি-জামায়াতের দালালি করার জন্য এই শিক্ষক ফেসবুকে দুঃসাহস দেখিয়েছেন।কর্মসূচি শেষে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের বিভাগীয় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তালা লাগানোর পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কক্ষের দরজায় ‘জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট, আইএসআইয়ের পেইড এজেন্ট, দেশদ্রোহী ও জঙ্গিবাদ তালেবানদের দালাল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন ফেস্টুন লাগিয়ে দেয়। ফেস্টুনে আসিফ নজরুলের বিচার দাবি করা হয়।পরে বিকেল পৌনে ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরাও আসিফ নজরুলের তালাবদ্ধ ওই কক্ষে আরও একটি তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কুশপুতুলও পোড়ান তারা।