পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় সড়কবাতির দাম বেশি ধরা হয়েছে। এই দাম কোথায় পেলো, কীসের ভিত্তিতে দাম ধরা হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছি। দাম নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করার জন্য বলা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে পিডিবি অনুমতি লাগবে। প্রকল্পটি ভালো। কারণ কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সড়কবাতি লাগবে, যাতে করে পর্যটকেরা রাতেও নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। যেসব স্থানে এলইডি লাইট স্থাপন করা হবে সেসব স্থানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কোনো স্থাপনা বা পোল থাকলে তা প্রকল্প বাস্তবায়নের পর কী করা হবে, পিডিবির বর্তমান স্থাপনা/পোল অপসারণের ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি বিষয়ে পিডিবির সঙ্গে সভা করে একটি এমওইউ সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে কক্সবাজারকে অত্যাধুনিক পর্যটন নগরী করার কথা বলা হচ্ছে। ওভারহেড তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগ বিবেচনা করতে পারে বলে মতামত দিয়েছে কমিশন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বর্তমানে কক্সবাজারের একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। খসড়া মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে এলইডি লাইট স্থাপনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য সভায় পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রকল্পের প্রতিটি খাতের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা একটি চার্ট আকারে ডিপিপিতে উপস্থাপন এবং সে অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বলা হয়।