ঢাকা: চিত্রনায়িকা পরীমনির সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় কারাগারে ডিভিশন চাওয়া হয়েছে। তার পক্ষে আইনজীবী মজিবুর রহমান এই আবেদন করেন।আবেদনের বিষয়ে বিচারক নথি পর্যালোচনায় আদেশ দেবেন।দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলে তার আইনজীবী বলেন, পরীমনি একজন আন্তর্জাতিক মানের নায়িকা। ফোবর্স ম্যাগাজিনে তার নাম এসেছে। সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় কারাগারে তার পক্ষে ডিভিশনের আবেদন জানাচ্ছি।রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ডিভিশনের বিষয়টি কারাবিধিতে আছে, কারা কর্তৃপক্ষ তা দেখবে।তখন বিচারক আইনজীবীর কাছে ডিভিশনের বিধান জানতে চান। পরীমনির আইনজীবী সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে ডিভিশন দিতে পারেন বলে জানান। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনের বিষয়ে নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন।গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে বনানী থানার মাদক মামলায় চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এদিন তাদের নতুনভাবে আর রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া আটটার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযানের প্রথম দিকে পরীমনি র্যাবকে সহযোগিতা করেননি। পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদসহ দুটি গ্ল্যানলিভেট, একটি গ্ল্যানফিডিচ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ উদ্ধার করা হয়।পরে তার বিরুদ্ধে র্যাব-১ এর সিপিও মজিবর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পরীমনিকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।