হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শহরের কুন্দল এলাকার রফিক মিয়া বলেন, হাসপাতালের মূল গেটে নবজাতকের বাবার সঙ্গে এক নারীকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে দেখি। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর শেষে ওই নারী নবজাতকের বাবার হাতে এক ব্যান্ডেল টাকা তুলে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লিমা আক্তার নামে ওই নারীর কাছ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
নবজাতকের মা জোসনা বেগম বলেন, একই এলাকার জামিলা খাতুন আমার দূর সম্পর্কের ফুপাতো বোন। তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তাকে স্বেচ্ছায় দিয়েছি। তবে আমার চিকিৎসার খরচ বাবদ তিনি আমাদের ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। জামিলার পক্ষ থেকে টাকাটা দিয়ে নবজাতককে নিতে এসেছিলেন লিমা। তিনি সৈয়দপুর শহরের নিচু কলোনি মহল্লার খায়রুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নবিউর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি জানতে পেরে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওমেদুল হাসান সম্রাট ও গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুদা আফরোজসহ ওই ওয়ার্ড পরিদর্শনে যাই। সেখানে নবজাতকের মা জোসনা বেগমকে দেখতে পাই, কিন্তু ওই সময় নবজাতককে বেডে পাওয়া যায়নি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল নবজাতককে উদ্ধার করে। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।