মোদীকে ফেলতে মমতার হাত ধরতে পারে বামদল

মোদীকে ফেলতে মমতার হাত ধরতে পারে বামদল
এবার আগামী লোকসভা ভোটে মোদীকে ফেলতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে আপত্তি নেই সিপিএমের, এমন মন্তব্যই করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

সোমবার (২৭ জুলাই) পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে বিমান বসু বলেছেন, ‘আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জী বলেছিলেন, রাজনীতিতে চিরশত্রু বলে কিছু নেই। সব সম্ভবনাই সম্ভব। ফলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা। ’

এহেন যুক্তিতে তৃণমুলের হাত ধরারই কি বার্তা দিলেন প্রবীণ এই বাম নেতা? এ নিয়ে বাংলায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে, তার এই কথার অর্থ যে মমতার স্বপক্ষেই যাচ্ছে, তা সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নে স্পষ্ট হয়েছে।

‘সেক্ষেত্রে কি রাজ্যের শত্রু দল তৃণমূলেরও হাত ধরবে বামেরা?’ সংবাদ মাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান বসু বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতের অগণতান্ত্রিক সরকার ফেলতে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা কিংবা বাংলা থেকে বেনারস পর্যন্ত বিজেপি ছাড়া যেকোনো দলের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। ’

এদিকে ২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সোমবার রাতেই দিল্লি গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই সফর সূচিতে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মমতার। সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে গিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের সাংসদ সদস্যের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর বুধবার (২৮ জুলাই) দিল্লির চাণক্যপুরী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিটিং করবেন মমতা।

এই আবহে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর এহেন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। তাহলে কী ২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভার্সেস বিরোধী জোট? এই দুই মেরুর লড়াই দেখতে পাবে বাংলার মানুষ? এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাম নেতৃত্বরা নরেন্দ্র মোদী এবং মমতাকে শত্রু ভেবে জোর প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু ভোটের বাক্সে দেখা গেছে বাম নেতৃত্বদের অজান্তে রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে বাম সমর্থকদের ভোট মমতার ঝুলিতেই গেছে।

সম্প্রতি ভোটে একটিও আসন না পাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে নিজেরাই বলেছিলেন মোদী এবং মমতা এক ধরনে শত্রু নয়। তবে নীতিগত ফারাক থাকলেও মোদীকে ফেলতে মমতার হাত ধরতে কোনো অসুবিধাও নেই তাদের। ফলে এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার থার্ডফ্রন্টকে কতজন মোদী বিরোধ রাজনৈতিক দল সমর্থন করে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সিন্ডিকেটের কারনে আলুর দামের উর্ধ্বগতি

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনীয়ার সেবায় মুগ্ধ ঠিকাদারসহ মাদারীপুরবাসী