বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ‘সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ করলেও তার কোনো দুর্নীতি থাকে বা তার কারণে সরকারের কোনো ক্ষতি হয়ে তাহলে আগের আইনে তার পেনশন থেকে পুরোটা বা কিছুটা কেটে নেওয়ার বিধান ছিল। এটা যাতে না থাকে সেজন্য জনপ্রশাসন প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, কিন্তু মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়নি। মন্ত্রিসভা আগেরটাই বহাল রেখে দিয়েছে। ’
আইনের ৫১ ধারায় উল্লেখ করা আছে- অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে কারণ দর্শায়ে বা যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এটি সংশোধনের জন্য নিয়ে এসেছিল। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়নি। আর পিআরএলে থাকাবস্থায় বিদেশ যেতে হলে বা অন্য কোথাও চাকরি করার জন্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন নিতে হবে এটা নিয়ে আসা হয়েছিল। এটাও রাজি হয়নি। এলপিআরটা সার্ভিসের মধ্যে ছিল। আগে যেটা ছিল সেটাই (অনুমোদন নিতে হবে না) থাকছে।
তবে সরকার কারো বিষয়ে স্পেসিফিক অর্ডার দেয় সেটা কার্যকর হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আগের আইনে কিছু ভুল ছিল সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।