গত জুন মাসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৯৬টি। নিবন্ধনের তুলনায় রিটার্ন দাখিলের হার ৭৭ শতাংশ। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২১ হাজার ৫১২টি, শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৭০ শতাংশ। অনলাইনে অথবা মোট রিটার্ন দাখিলের সংখ্যার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে এই কমিশনারেটেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল হয়েছে।
করোনা অতিমারির এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বছরের উল্লেখযোগ্য সময় কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার পর্যটন এলাকা বন্ধ ছিল। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিউটি পার্লার, কমিউনিটি সেন্টারসহ বেশকিছু সার্ভিস সেক্টরের কার্যক্রম সীমিত ছিল। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ অর্জন সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, এ সাফল্যের সব কৃতিত্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদনের ফসল এ অর্জন।
তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য, অন্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় আমাদের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন। তিনি করদাতাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
করদাতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার দফতর অনলাইনে সহজে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য ৮টি বিভাগীয় দফতরের মাধ্যমে ৩টি ভ্যাট মেলার আয়োজন করে। বিভিন্ন মার্কেটে ভ্যাট বুথ স্থাপনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করেছে। যার প্রভাব রাজস্ব আদায়সহ অন্যান্য অর্জনে প্রতিফলিত হয়েছে।