সড়কে বাস নামাতে ধোয়া-মোছায় কাটছে ব্যস্ত সময়

সড়কে বাস নামাতে ধোয়া-মোছায় কাটছে ব্যস্ত সময়
ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করায় পরিবহন শ্রমিকরা ব্যাপক খুশি। সড়কে বাস নামানোর জন্য পরিবহন শ্রমিকরা শুরু করেছেন শেষ সময়ের প্রস্তুতি।nবুধবার (১৪ জুলাই) গাবতলী বাস টার্মিনালে এ দৃশ্য দেখা যায়।এদিন গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায় পরিবহন শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন, কেউ গাড়ি ঠিকমতো স্টার্ট হচ্ছে কিনা দেখে নিচ্ছেন, আবার কেউ বা দেখে নিচ্ছেন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় গাড়ির সব যন্ত্রপাতি ঠিক রয়েছে কিনা। ছোটখাটো সমস্যা থাকলে তাৎক্ষণিক মেরামত করতেও দেখা যায়।  গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময় কথা হয় হৃদয় নামে একজন পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে। তিনি গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ীতে চলাচলকারী ৮ নম্বর পরিবহনের সহকারী হিসেবে কাজ করেন।  নি বলেন, লকডাউনে আমার মতো পরিবহন শ্রমিকদের অনেক সমস্যা হয়। ঢাকায় থাকা-খাওয়া এবং বাসা ভাড়ার টাকা যোগাড় করা কষ্টকর হয়ে যায়। তবে সরকার লকডাউন তুলে নিয়ে বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় আমরা খুশি। অন্তত কিছু টাকা কয়েক দিনে আয় করে চলতে পারবো।
সাভার থেকে মতিঝিলে চলাচলকারী ওয়েলকাম পরিবহনের চালক জাকির হোসেন বলেন, লকডাউন চললে আমাদের মতো দুর্দশা আর কারো হয় না। আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন ইনকাম নাহলে আমাদের ধার করে চলতে হয়। আমাদের কেউ টাকা-পয়সাও ধার দিতে চায় না।  ‘২২শ টাকার চালের বস্তা ২৬শ টাকা হয়ে গেছে। সব জিনিসের দাম বেশি। লকডাউন হলে সমস্যায় পড়ে যাই, সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। তবে ঈদের আগে সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ায় অনেক ভালো হয়েছে। কিছু টাকা ইনকাম হলে অন্তত বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে ঈদ করতে পারবো। ’ আরেকজন পরিবহন শ্রমিক আলামিন সরকার বলেন, লকডাউনে আমরা যারা শ্রমিক ও দিনমজুর- তাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। আমরা ইনকাম না করলে পেট চলে না। ঈদের আগে সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ায় আমাদের জন্য আনন্দের। ভবিষ্যতেও যেন সরকার আমাদের কথা ভেবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই চাই।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন