মাগুরা ওয়াবদা কলার আড়তে জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কলা নিয়ে আসেন ব্যাপারিরা। বিশেষ করে বেলনগর, কছুন্দি, ঘাসিয়াড়া, শ্রীপুর বারইপাড়া, রাধানগর, মাঝাইল মানন্দার তলা, মহম্মদপুর, শালিখা থেকে আসা কলা এই আড়তে বিক্রয় হয়ে থাকে। ওয়াবদা কলার আড়তে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, চিটাগাং থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন কলা কিনতে। বর্তমানে কঠোর লকডাউনের কারণে জেলার হাট বাজারে লোক সমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আসছেন না। সে কারণে আড়তে বেচা বিক্রি কমে গেছে। ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের হুলিনগর গ্রামের কলা চাষি সোহরাব হোসেন বলেন, সংসারে অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পেতে কলা চাষ করেছি। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারি ও কঠোর লকডাউনের কারণে কলার ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার দেখা দেখি এই এলাকায় বেশ কয়েকজন কলা চাষে ঝুঁকেছেন।
স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, মাগুরা জেলার মাটি কলা চাষের জন্য উপযোগী। সারাদেশে এই জেলার কলার সুনাম রয়েছে। মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন কলা আসলেও কঠোর লকডাউন থাকায় এখন তেমন আসছে না।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ খামার বাড়ি উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় চলতি বছর কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে কলা ব্যবসায়ীরা না আসায় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। তাছাড়া আমরা মাঝে-মধ্যে কলা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। তবে আমি মনে করি লকডাউন শেষ হলে কলা চাষিরা ভালো দাম পাবেন।
