নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৪ জন। যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬৪ জনের। যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের। মৃত ১৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন ও নারী ৫৫ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪২৭টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে নয়জন, সিলেট বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন রয়েছেন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৮৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন রয়েছেন।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩ হাজার ৫০৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৪ হাজার ৮০৭ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।