নিজস্ব প্রতিবেদক : লকডাউনের চতুর্থ দিনে আরো ৬৩৬ জনকে আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৪ জুন) ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি আইনের ৭৭ ও ৭৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। সিএমএম আদালতের নন জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, যদিও দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জীবাণুর সংক্রমণের জন্য প্রয়োগের কথা দণ্ডবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু ডিএমপি অধ্যাদেশের অভিযোগ থাকার ফলে গ্রেফতাদের বিরুদ্ধ দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারার প্রয়োগ হবে না। তাই আটকদের ডিএমপি আইনের ৭৭ ও ৭৮ ধারায় জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।রোববার সিএমএম আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান ও সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আটকদের ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অনাদায়ে এক থেকে তিন দিনের কারাদণ্ড দেন। ১৫০ টাকা অনাদায়ে একদিন, ২০০ টাকা অনাদায়ে দু’দিন এবং ৪০০ টাকা অনাদায়ে তিনদিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। শনিবার একই আইনে ৬০৭ জন ও শুক্রবার এই আইনে ৬২৯ জনকে জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে চারদিনে দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলো। সিএমএম আদালতের হাজতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, লকডাউন অমান্য করায় চতুর্থ দিনেও ছয় শতাধিক জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে চারদিনে দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে ডিএমপি আইনে মামলা দিয়ে হাজির করা হলো। এসময় আদালত তাদের বিভিন্ন পরিমাণে জরিমানা করে আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, সেই জরিমানা পরিশোধ সাপেক্ষে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা না দিলে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। কারাদণ্ড ভোগের মেয়াদ শেষ হলে তারা মুক্তি পাবেন।