কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জন, উপসর্গ নিয়ে আরো ৬ জন এবং কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ও নিজ বাড়িতে আরো একজন। এদিকে অতিরিক্ত রোগীর কারণে হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে।শনিবার (০৪ জুলাই) সকাল থেকে রোববার (০৪ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত ১৯ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।এছাড়া কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তাপস কুমার সরকার জনান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে চিকিৎসাসেবা চলমান রয়েছে। রোববার (০৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ২৭৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে ২০৫ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে আরো ৬৮ জন।তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে রোগীদের শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে করোনা রোগী বাড়তে থাকলে চিকিৎসা ব্যাহত হবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট।দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। হঠাৎ করে রোগী ভর্তি বেশি হওয়ায় অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। ৪৮টি সিলিন্ডার দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তা সামাল দিতে আরও অন্তত ১০০ সিলিন্ডার প্রয়োজন।এদিকে কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৭৫ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের।অপরদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া লকডাউনের আজ ৪র্থ দিন। এই লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। শনিবার দিনব্যাপী সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারী ৪৪ জনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেনা সদস্যদের টহল দিতেও দেখা গেছে। আগের দিনগুলোর তুলনায় শহরে মানুষ কম বের হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।