নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় ওই দম্পতির আরেক মেয়ে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলামের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।এদিন তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন। শুনানি শেষে বিচারক তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় রোববার (২০ জুন) নিহত দম্পতির বড় মেয়ে ও শফিকুলের স্ত্রী মেহজাবিন মুনকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) এবং তাদের ছোট মেয়ে জান্নাতের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনজনকে হত্যা করে মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খুনের কথা অবহিত করেন। পরে ওই বাসা থেকে মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলকে আটক করে পুলিশ।মেহজাবিন পুলিশকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। মেহজাবিনের মা তাকে ও তার বোনকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতো। বিয়ে হয়ে গেলে নিহত ছোট বোনকে নিয়ে একই কাজ করাতে থাকে। এছাড়া তার বোন জান্নাতুলের সঙ্গে স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল মেহজাবিনের। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। বিষয়টি মা-বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকেই তিনি মা-বাবা ও বোনকে খুন করেন বলে পুলিশকে জানান।ঘটনার পর গত ২০ জুন মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন তার চাচা সাখাওয়াত হোসেন। মামলার পর মেহজাবিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে শফিকুলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি পাহাড়ায় চিকিৎসা শেষে সোমবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।