ঢাকা: জজ কোর্টেও জামিন পাননি মতিঝিলে মোদী বিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মী।বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের ভার্চ্যুয়াল আদালত জামিন নামঞ্জুরের এ আদেশ দেন।আসামিপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, আসামিদের মধ্যে শাকিল উজ্জামান ও ইব্রাহীম খোকনের নাম এজাহারে নেই। এছাড়া আব্দুর রউফের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে দুইদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।আরও বলেন, অন্য আসামিদের ঘটনার পর আশপাশ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। অপর আসামি মাজহারুল ইসলামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আসামিরা আড়াই মাসের বেশি সময় জেলহাজতে আছেন। আমরা যেকোনো শর্তে তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) ফরিদ আহমেদ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, রাজশাহী বিশ্বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, মো. নাঈম, আসাদুজ্জামান, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম পাঠান, আব্দুর রউফ, ইব্রাহীম খোকন, আল আমিন মিনা, মো. ইউনুস, মোস্তাক আহমেদ শিশির, সোহেল আহম্মেদ, শেখ খায়রুল কবির আহম্মেদ, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত খলিফা, ইসমাইল হোসেন, রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম, ক্বারী মাহমুদ বিন মনির, আজিম হোসেন, রুহুল আমিন, সোহেল মৃধা ও আল মাহমুদ জিহান।আসামিদের মধ্যে শাকিল, ইব্রাহীম, আল আমিনকে ২৮ মার্চ, মাজহারকে ২৯ মার্চ ও বাকি ২০ জনকে ২৫ মার্চ ঘটনার দিন গ্রেফতার করেন। শাকিল ও ইব্রাহীমের নাম এজাহারে নেই এবং মাজহার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের প্রতিবাদে গত ২৫ মার্চ বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। মিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জরিয়ে পড়েন তারা। এরপর ছাত্র অধিকার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়।