মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদীর অনাবাদি কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। এতে করে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হলেও প্রকৃতির বিরূপতায় এ বছর কিছু স্থানে বাদাম গাছ মরে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।জানা যায়, বাংলা মাসে ফাল্গুনের শেষ ভাগে চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে লাঙল দিয়ে চাষ দেওয়ার পরপরই বপন করতে হয় চিনা বাদাম। আর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই বাদাম তুলতে শুরু করেন চাষিরা। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি চরাঞ্চলের বসবাসকারী চাষিরা বাদাম তোলার কাজ করে। বাদাম তোলার পর সারিবদ্ধভাবে বালু চরে সাজিয়ে রাখে বাদাম গাছ। বাদাম গাছগুলোর কদরও রয়েছে চরাঞ্চলে। কারণ হিসেবে দেখা যায় গো-খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতি মেটানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।দৌলতপুর উপজেলার বৈন্যা এলাকার রিতা বলেন, আমার চাচার জমির বাদাম ছিড়তেছি, বাদাম গাছ থেকে বাদাম ছিড়ে গরুর খাবার বানাই গাছ দিয়া। বাদাম গাছ থেকে বাদাম ছেড়া শেষে কিছু বাদাম এমনিতেই আমাগো দিয়া দেয়।একই এলাকার চিনা বাদাম চাষি হালিম মোল্লা বলেন, আমি এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকার মতো। চিনা বাদামের ফলনও অনেকাংশেই ভালো হয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে এখনও আর এ দাম থাকলে খরচ বাদে কয়েক হাজার টাকা লাভ হবে।দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, দৌলতপুর উপজেলায় এ বছর ২৮৫৫ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। অফিস থেকে প্রতিজনকে ১০ কেজি করে ৮০ মেট্রিক টন বাদামের বীজ কৃষকদের সরবারহ করেছি। এ বছর আবহাওয়ার কারণে অন্য বছরের তুলনায় বাদামের ফলন কম হয়েছে, কৃষকরা যদি বাজারে বাদামের ভালো দাম পায় তবে সামনে বছরেও বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়বে।