এসব বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমানে বাজারে প্রতিলিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকা। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে তেল বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, শুনেছি ভোজ্যতেলের দাম আবারো বেড়েছে। আমার কাছে আগের কেনা তেল আছে। এ কারণে আগের দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করছি। বাড়তি দামে তেল কিনলে তখন থেকে নতুন দামে তেল বিক্রি করবো।এসব বাজারে লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিম দাম কমে ডজন এখন ১২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু-খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আসলাম আহমেদ বলেন, বন্যার কারণে বাজারে মুরগি কম আসছে বলে দাম চড়া যাচ্ছে। পণ্যের যাতায়াত স্বাভাবিক হলে মুরগির দাম আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেই বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ঊর্ধ্বগতির বাজারে মধ্যবিত্তদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।