পাউবো বরগুনার পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তীসময়ে বুধবার পূর্ণিমা ছিল। তাই আমাদের ধারণা ছিল- দিনের জোয়ারের থেকেও রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি হবে। কিন্তু তা না হয়ে দিনের থেকেও রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা হয়েছে কম। বরগুনা সদর ও পাথরঘাটার একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময় জোয়ারের উচ্চতা একবার কমা শুরু করলে আর বাড়ে না। এরপর পানির উচ্চতা কমতে কমতে একেবারে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। তাই ঘূর্ণিঝড় আর পূর্ণিমার জন্য সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতা আর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসনের বাসিন্দা আ. কুদ্দুস মিয়া বলেন, গত দু’দিনের প্রতিটি জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ভেবেছিলাম বুধবার রাতের জোয়ারে দিনের জোয়ারের থেকেও পানির উচ্চতা বেশি হবে। তাই ঘরে না থেকে জোয়ারের আগেই রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু জোয়ারের উচ্চতা দিনের তুলনায় বাড়েনি, বরং কমেছে।পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় নিচু হওয়ায় এখনো পানি নামতে পারেনি। এ পানি নামতে আরও দু’একদিন সময় লাগবে। পাউবো বরগুনারের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, বুধবার দিনের জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে জেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরে ভাটার সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু রাতের জোয়ারের পর কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে বা উপচে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার কোনো খবর পাইনি।