সরকারি ছুটির দিনে সৌদি এয়ারলাইনসের অফিস বন্ধ থাকায় হোটেলে কোয়ারেন্টাইনের টাকা জমা দিতে পারেননি প্রবাসীরা। এ কারণে শত শত প্রবাসী বিপদে পড়েন। অনেকের গতকালের ফ্লাইটের টিকিট থাকা সত্ত্বেও সৌদি আরবে যেতে পারেননি। গতকাল সকাল থেকে শত শত মানুষ রাজধানীর কারওয়ান বাজার সৌদি এয়ারলাইনসের সামনে ভিড় জমান। টাকা জমা দিতে না পেরে কয়েক শ যাত্রী বিক্ষোভ করেন। রুহুল আমিন নামে একজন জানান, বুধবার রাত ২টার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ে যান হোটেলে কোয়ারেন্টাইন খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা জমা দিতে। কিন্তু বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এয়ারলাইনসের মূল গেট বন্ধ পান। শাওন হাওলাদার নামে আরেকজন বলেন, মাদারীপুর থেকে কোয়ারেন্টাইনের টাকা জমা দিতে সোমবার ঢাকায় এসেছি। ওইদিন আমাকে বলা হয়েছিল, যেদিন ফ্লাইট সেদিন আসতে। আমি তখন আজকের (বুধবার) ফ্লাইটের কথা জানিয়েছিলাম। পরে আমাকে আসতে বলা হয়েছিল। আমি আবার মাদারীপুর ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা জমা দিতে আসলে এয়ারলাইনসের গেট বন্ধ পাওয়া যায়। রানা মিয়া নামে আরেকজন জানান, আমি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা এসেছি। জেদ্দায় যাব। আগামীকাল (আজ) বিকালে ফ্লাইট। সব কিছু ঠিক করে নিতে এসেছি। কোয়ারেন্টাইনের জন্য টাকা জমা দিতে এসেও জমা দিতে পারলাম না। সোমবার রাতে করোনার নমুনার নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছি। কাল (আজ) যদি কোনোভাবে ফ্লাইট না পাই তাহলে আবার নতুন করে করোনার রিপোর্ট লাগবে। কারণ, পরীক্ষার তিন দিন পর্যন্ত এ রিপোর্টের মেয়াদ থাকে। আমার কী হবে জানি না। এর আগে, মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সৌদি আরবগামী যাত্রীদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামগামী যাত্রীরা যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে কোয়ারেন্টাইন হোটেলসহ প্যাকেজ নিশ্চিত করতে হবে। টিকিট ও কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ নিশ্চিত হওয়ার পর সম্মানিত যাত্রীকে ফ্লাইট সৌদি আরবে অবতরণ করা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার স্যাম্পল প্রদান ও রিপোর্ট সংগ্রহের অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু যাত্রীর কোয়ারেন্টাইন হোটেল প্রয়োজন হবে না। অনাবাসিক এবং প্রথমবারের জন্য দর্শনার্থীরা যারা কভিড-১৯ এর টিকার উভয় ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার ১৪ দিন শেষ করেছেন। তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র/সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে।