ঢাকা: বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকলের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।বুধবার (২৬ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি তার অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানব কল্যানে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন-হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে রক্তপাত, হানাহানি ও সংঘাত-সংঘর্ষে মানব জাতি ক্ষতবিক্ষত। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। শান্তি, সম্প্রীতি ও মানব প্রেম সব ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আজও বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সব মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সব প্রতিকূলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে তিনি জগতের সব প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের জন্য নিরন্তর ধর্ম প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।তিনি বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত অপরিহনীয় ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সব স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ যেই সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো ধরনের সংঘাত সহিংসতা। তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন। বর্তমানে করোনা মহামারির করাল গ্রাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে মহামানব গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদেরকে সামনের সুদিনের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগাবে। তিনি বুদ্ধ পূর্ণিমার সাফল্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলের সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করেন।