জুয়েল রানা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গত ১৯ মে, ২০২১ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে জারিকৃত এক নোটিশে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস/টিভি ক্লাসে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়েছে নির্ধারিত তথ্য ছক মোতাবেক। তথ্য ছকে উল্লেখ রয়েছে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করে কি না, টিভি নাই, টিভি আছে কিন্তু কেবল নাই, ডিজিটাল ডিভাইস নেই, বিদ্যুত সংযোগ নেই, ইন্টারনেট সংযোগ নেই, আর্থিক তথ্যসহ প্রভৃতি অনলাইন সংশ্লিষ্ট তথ্যের শিরোনাম। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি অঞ্চলে ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাওয়ায় ছক সম্বলিত
এসকল তথ্য অনলাইন বা টিভি ক্লাসে অংশগ্রহণ না করার অন্যতম কারণ নয়। অন্যতম ও বাস্তব সম্মত কারণ হলো প্রশাসনের নজরদারির অভাব, যুগোপযোগী ও আদর্শ শিক্ষকের অভাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, বেসরকারি বা প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কিন্ডারগার্টেন, কোচিং সেন্টারে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান, দায় সারা কয়েক মিনিটের অনলাইন ক্লাস, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদাসীনতা ইত্যাদি। কেননা প্রশাসনের নজরদারির অভাব বলেই আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস, কোচিং চলছে। অনলাইন ক্লাস পরিচালনায়ও কোন তদারকি নেই। সরাসরি ক্লাসের সুযোগ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা নিশ্চয় অনলাইন ক্লাস করবে না? এছাড়াও অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেমে আসক্ত হচ্ছে। প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ হাতে গোনা কয়েকজনকে বাড়ির কাজের শিট পৌঁছে দিয়ে ফেসবুক পোস্ট পর্যন্ত কাজ শেষ করছে। অনলাইন ক্লাসের নামে বা অ্যাসাইনমেন্টের নামে আসলে যা হচ্ছে তা শুধুই লোক দেখানো। তাহলে একজন অভিভাবক ও আগ্রহী শিক্ষার্থী কেন অনলাইন বা টিভি ক্লাস পছন্দ করবে? দেশের সাধারন মানুষ আজ ভাবছে “সরকার হয় বুঝে-শুনে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, আর নয় বার বার সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করছে”। এতগুলো কারণ ও সাধরণ মানুষের শিক্ষার প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণ না হওয়ায় অনলাইন ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে।