নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানিতে আপত্তি দেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।তিনি আদালতকে বলেন, পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন দিলে আমাদের আপত্তি নেই। এরপর আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে আব্দুল্লাহ আবু নিজেই সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আদালত বলেছেন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাই তাদের কাজের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আগের দিন রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করলেও আজ কেন আপত্তি করেনি, জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এটা তো কোনো জানার বিষয় নয়। আমরা তো যা বলেছি আপনাদের স্বার্থেই বলেছি। গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) রোজিনার জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়। রোজিনার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আমিনুল গণি টিটো, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আশরাফ উল আলম ও প্রশান্ত কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকবউটর তাপস কুমার পাল ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন জামিনের বিরোধিতা করেন।গত ১৮ মে রোজিনার বিরুদ্ধে করা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।গত ১৭ মে বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে এদিন ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।ওইদিন রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৬। দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/ ৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। যেখানে তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।