ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন আনা হচ্ছে জানিয়ে আতিক জানান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমিনবাজারের ল্যান্ডফিলে আসা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে আমরা ‘এমওইউ’ করে ফেলেছি। আমরা তাদের প্রতিদিন তিন টন বর্জ্য ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জায়গা দেব। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পিডিবি’র (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড) কাছে বিক্রি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের দুর্নীতি জড়িয়ে পড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাউন্সিলরদের ‘সিণ্ডিকেট’ গঠনের অভিযোগ এবং তাদের সম্পত্তির হিসেব নিয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক দখল করে থাকা কাউন্সিলরের বাড়ি কিন্তু ভেঙেছি। যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই আমার কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এ বার্তা কিন্তু পরিষ্কার।
নগর পরিকল্পনাবিদদের ফুটওভার ব্রিজ ধারণা নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাহলে কেন ফুটওভার ব্রিজের মতো প্রকল্পে লিফট, এস্কেলেটর স্থাপন করে বাজেট বাড়ানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, ফুটওভার ব্রিজ যে মাথার উপরে থাকে, এটা আমরাও চাই না। আমরা চেয়েছিলাম মাটির নিচ দিয়ে করতে। অনেক জায়গায় এর সম্ভাব্যতা নিয়ে আমরা কাজ করেছি, করছি। কিন্তু স্বল্প মেয়াদে এটা করা এখনই সম্ভব না। কাজেই দীর্ঘ মেয়াদে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে আর আপাতত স্বল্প মেয়াদের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
একটি উদাহরণ তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মনিপুরিপাড়ার বাসিন্দাদের সড়ক পারাপারের জন্য সেখানে আমরা একটি আন্ডারপাস করার চেষ্টা করেছিলাম। বুয়েটের একটি দল সবকিছু পরীক্ষা করে আমাদের জানিয়েছে যে, সেখানে আন্ডারপাস করতে হলে দু’পাশে যে জায়গা প্রয়োজন তা নেই। তারা আমাদের র্যাংগস সিগন্যাল মোড়ে আন্ডারপাস করার পরামর্শ দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।
এছাড়াও মশক নিধন, ডিএনসিসি মার্কেটের উন্নয়ন এবং ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে নিজ পরিকল্পনার কথাও জানান আতিক। মশক নিধনে তিনি আবারও নগরবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। খাল উদ্ধার, দখল উদ্ধার, ডিএনসিসি এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানান ডিএনসিসি মেয়র। ডিএনসিসিতে কর দেওয়া প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে ‘ক্যাশলেস’ ও ‘ডিজিটাল’ করতে কাজ করে যাওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিরি প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।