জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধের জন্য পরীক্ষা কম হচ্ছে, শনাক্তও কম হচ্ছে। এটা সায়ন্সের মতো, আমরা যখন কঠোরতা দিলাম, আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গত মাসের ১৫ তারিখের দিকে বলেছিলেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে এটা কমতে থাকবে। ঠিকই সেটা কমেছে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতার নিরিখে দোকানপাট খুলে দিতে হলো, সেক্ষেত্রে আমরা দেখছি অনেক মানুষ বাইরে যাচ্ছে। শতভাগ মাস্ক পরার বিষয়টি হচ্ছে না। এটা একটা বিষয়।’ ‘এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট, পার্শ্ববর্তী দেশের অবস্থাটা আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। আমরা আমাদেরটা কমিয়েছি বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে মাস্ক না পরা, কিছু সংখ্যক লোকের বাড়িতে যাওয়া- এই বিষয়গুলো আমাদের ভাবাচ্ছে। এটাও একটা সায়েন্স, হয়তো ঈদে পর সংক্রমণ আবার বেড়ে যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আমরা অবশ্যই শতভাগ মাস্ক পড়াতে হবে। জেলা শহর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে- এই কানেকটিভিটির জায়গাগুলোতে আমাদের শতভাগ মাস্ক পরানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা মাস্ক পরছেন তারা সেভ থাকবেন, কিন্তু যারা মাস্ক পরছেন না তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই ঈদের পর সংক্রমণ ২০/২২ তারিখের দিকে আবার বেড়ে যেতে পারে। ওই সময়ের অবস্থাটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। যারা মাস্ক পরেনি তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করবে কিনা, তা আমরা বুঝতে পারছি না।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি ঈদের পর আরও অন্তত এক সপ্তাহ এই বিধিনিষেধ চলমান রাখা। এরই মধ্যে যাতে শতভাগ মাস্ক পরাতে পারি সেই ব্যবস্থাটা করা। এই বিষয়গুলো সক্রিয়ভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি। ১৬ তারিখের মধ্যে হয়তো প্রজ্ঞাপন দিয়ে আমরা জানাতে পারব।’
এখন বিধিনিষেধে জেলার মধ্যে বাস চলছে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আগের মতেই বন্ধ রয়েছে ট্রেন ও লঞ্চ।
এছাড়া লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে হচ্ছে ব্যাংক লেনদেন।