তিনি বলেন, গত বছরের শেষদিকে যখন বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ অনেকটা কমতে শুরু করেছিল, তখন সবার সঙ্গে আমরাও আশান্বিত হয়েছিলাম যে বিশ্ববাসী বুঝি এ মহামারি থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের সব পরিকল্পনা ও প্রত্যাশাকে নস্যাৎ করে দেয়। জনগণের সহযোগিতায় এবং আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা বিগত এক বছর করোনা মহামারিজনিত আর্থিক অভিঘাত খুব ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছি। আমরা যখন প্রথম ঢেউ সামলিয়ে অর্থনীতিকে আগের অবস্থার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসার পর্যায়ে, তখনই মার্চে দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। এতে করে আমাদের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধিতে হয়তো খানিকটা ভাটা পড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে এবারও আমরা আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবো। গত সপ্তাহে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশির ভাগ ধান এরইমধ্যে চাষিভাইদের ঘরে উঠেছে। সুষ্ঠুভাবে ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে হারভেস্টার বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের (ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ) নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের ধান কাটতে সহায়তা করছে। পবিত্র রমজান মাসে আমাদের দলের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ইফতার এবং সেহরি বিতরণ করেছে। চাষি ভাইয়েরা যাতে তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পান, সেজন্য এবার চালের সংগ্রহ মূল্য কেজি প্রতি ৪০ টাকা এবং ধানের মূল্য ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।