নিউমার্কেটে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগই মাস্ক পরছেন, তবে কেউ কেউ আবার মাস্ক মুখে না পরে থুতনি এবং মুখের নিচে পরেছেন। মার্কেটের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজন হ্যান্ডমাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলছেন। তবে সেই বিষয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মনোযোগ কম লক্ষ্য করা যায়। করোনা ভাইরাসরোধে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বও রক্ষার বিষয় পুরোটাই উপেক্ষিত হতে দেখা যায়।
আজিমপুর থেকে বাচ্চাদের জন্য জামা-কাপড় কিনতে আসা রোজিনা বলেন, সারা বছর ধরে শুধু রোজার ঈদেই বাচ্চাদের জামা-কাপড় কিনে দিচ্ছি। তাই বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে করোনার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মার্কেটে এসেছি। মিরপুর এলাকা থেকে আসা সালমা বলেন, এভাবে ভিড়ের মধ্যে আসা উচিত না, তারপরেও বাধ্য হয়েই আসতে হয়। কারণ আমরাতো আর বড় বড় মার্কেটে যেতে পারি না। তাই আমাদের মতো মানুষদের নিউমার্কেটে ভিড়ের মধ্যেই কেনাকাটা করতে হয়। নিউমার্কেটের রাস্তার উপরে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রেতা ফেরদৌস আলম বলেন, বেচাকেনা যা হচ্ছে খারাপ না। গতবারতো আমরা বেচাকেনাই করতে পারিনি। দোয়া করি, শিগগিরই যেন সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরাও বেচাকেনা করে পরিবার নিয়ে ডালভাত খেতে পারি।
শিশুদের ড্রেস বিক্রেতা আলামিন সরকার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। বেচাকেনা যা হয়েছে তাতে আলহামদুলিল্লাহ, পরিবার-পরিজন নিয়ে মোটামুটি ঈদ করতে পারবো।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীনকে মোবাইল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।