তিনি বলেন, হেফাজত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিকভাবে চলবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা চাই না ফের শাপলা চত্বরের মতো তাণ্ডবের ঘটনা ঘটুক। তবে কেউ যদি তাণ্ডব চালায়, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে বা পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব প্রসঙ্গে বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে ব্যাপক নাশকতা হয়। সেটাকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রাম, বাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাণ্ডবে যারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যুক্তিতর্ক চলছে, সারাদেশে কীভাবে জায়গায় জায়গায় আগুন দেওয়াসহ তাণ্ডব চলেছে, তা সবাই দেখেছে।তিনি বলেন, যারা যারা নাশকতায় জড়িত ছিল, উস্কানি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো নিরাপরাধী যেন শাস্তি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কেউ যদি নিরাপরাধী হন তা যেন আমাদের জানানো হয়। সে ব্যাপারে আমরা তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে উদ্যোগ নেবো।হেফাজত ইসলামের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি দায়ের করা মামলার তদন্ত কাজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। তবে আরও আনুষঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ দরকার। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর তাণ্ডবের আট বছরেও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৩ মামলার একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি। সে সময় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় সারাদেশে ৮৩টি মামলায় আসামি করা হয় প্রায় ৮৫ হাজার জনকে।