প্রায় ৮ ঘণ্টা নদীতে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফিরেছেন শনিবার (০১ মে) সকাল সাড়ে ৮টায়। ৮ ঘণ্টা মাছ শিকার করে পেয়েছেন মাত্র ৬টি ইলিশ এবং কিছু পোয়া মাছ। ঘাটে ফিরে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও তিনি হাতে পেয়েছেন ৪০০ টাকা।বশির মাঝি বলেন, তেল খরচসহ মোট খরচ গেছে ১৮০০ টাকা এবং জাল ও নৌকার মালিককে টাকা দেওয়ার পর বাকি টাকা সবার মাঝে ভাগ করার পর যে টাকা পেয়েছি, তা খুবই কম। নদীতে ইলিশ নেই। তাই ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। প্রথমদিনে ভেবেছিলাম অনেক মাছ পাবো, কিন্তু পেয়েছি কম। আমাদের মত একই অবস্থা অন্যদেরও।কাসেম মাঝি ভোরে নদীতে গিয়ে ফিরেছেন শনিবার সকাল ৯টায়। একটি ঝাটকা ও কিছু পোয়া মাছ ঘাটে বিক্রি করে পেয়েছেন ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা গেছে তেল খরচ। ৩০০ টাকা ৬ জেলের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। কাসেম মাঝি বলেন, বিগত সময় দেখেছি ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে ভালো মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু এবার মাছ নেই। শুধু বশির মাঝি কিংবা কাসেম নয়, তাদের মত একই অবস্থা যেন বেশিরভাগ জেলের।সরকারি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইলিশ শিকারে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা। ইলিশের আশায় জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নতুন উদ্যোমে ইলিশ শিকারের উৎসবে মেতে উঠলেও তাদের ফিরতে হচ্ছে অনেকটা খালি হাতে। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নদীতে নামলেও জেলেদের মুখে হাসি নেই। জমে ওঠেনি মৎস্য আড়ৎগুলো।জেলেরা জানান, ইলিশ শিকারের প্রথম দিনেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরার কথা থাকলেও নদীতে ইলিশ সংকট। বেশিরভাগ জেলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ থেকে বঞ্চিত। তবে আগামী দু’একদিনের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়তে পারে বলে আশাবাদি তারা। তখন সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।ইলিশা মৎস্য ঘাটের আড়তদার মো. সামসুদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বেশিরভাগ জেলে নদীতে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে মাছ ধরা শেষ করে ঘাটে ফিরছেন কিন্তু তেমন ইলিশ পাচ্ছেন না তারা। গত বছর এমন সময় এ চিত্র ছিলো না। তবে কিছুদিন গেলে নদীতে মাছের দেখা মিলতে পারে। ভোলা জেলে মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ আলী জানান, নদীতে ইলিশ নেই, প্রথম দিন জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে, তাদের খরচ উঠছে না। ঘাটও জমে ওঠেনি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মাছ ধরা পড়তে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো।