নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৃষক শাহজাহান আলী ১০ জনের দল নিয়ে ইরি-বোরো ধান কাটতে চলছেন সান্তাহারের উদ্দেশে। ওই এলাকায় মজুরি বেশি পাওয়া যায়। আবার ধান পাকা শুরু হলেই সেখান থেকে তাদের মোবাইলফোনের মাধ্যমে আসার জন্য জানানো হয়।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) পার্বতীপুর শহর থেকে দক্ষিণে হলদিবাড়ি রেলগেটে কথা হয় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ এলাকার আফছার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, কাজ না করলে সংসার চলবে কীভাবে? করোনার কারণে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে বাবা-মা ও সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে টাকা রোজগারের আশায় কাজ করতে যাচ্ছি। এখনও এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়নি। তাই দু-পয়সা কামাইয়ের উদ্দেশে অন্যদের সঙ্গে আমিও ভাড়া করা মাইক্রোবাসে কাজের সন্ধানে যাচ্ছি।
পার্বতীপুর রেল স্টেশন মাস্টার জিয়াউল আহসান বলেন, করোনার কারণে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সড়ক পথই এখন ভরসা। উত্তরের কৃষি শ্রমিকদের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ছিল রেলপথ। স্বাভাবিক সময়ে কৃষি শ্রমিকরা খুলনাগামী মেইল ট্রেন, উত্তরা, আন্তঃনগর সীমান্ত, বরেন্দ্র ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই যাতায়াত করতেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত কৃষি শ্রমিক সড়ক পথে কাজের সন্ধানে দক্ষিণে যাচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিক বহনকারী যানবাহনগুলো থামিয়ে যাচাইয়ের (প্রকৃত শ্রমিক কি-না) মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।