এদিন সন্ধ্যায় শুক্রবার বঙ্গসফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, ২৩ এপ্রিল থেকে সব নির্বাচনী জনসভা, রাজনৈতিক কর্মসূচি তিনি বাতিল করছেন।এরই মধ্যে গোটা ভারতে করোনা প্রতিষেধক এবং অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। কোনো হাসপাতালে চার ঘণ্টা তো কোনো হাসপাতালে দু’ঘণ্টার মতো অক্সিজেন মজুত আছে।অক্সিজেনের অভাবে ভারতের একাধিক রাজ্যে করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। অতটা আশঙ্কাজনক না হলেও পশ্চিমবঙ্গেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোয় বেড পাওয়া যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে।তথ্য বলছে, বিদেশে আগে যা অক্সিজেন যেতো তার থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে যাচ্ছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশে অক্সিজেন গেছে ৯ হাজার মেট্রিক টন। এ নিয়েও কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে।ক্ষিপ্ত হয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এলএন রাও এবং এসআর ভাটের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ জানান, ‘অতিদ্রুত কেন্দ্র সরকার বিষয়টা হস্তক্ষেপ করুক। চুরি করুক, ধার করুক, ভিক্ষা করুক, যাই করুক একজনেরও যেনো অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ না যায়’। এমন পরিস্থিতিকে মোদী সরকার এদিন ফের উচ্চ পর্য়ায়েরে বৈঠক ডাকে। পরিবর্তন করা হয় আন্তঃরাজ্য নিয়ম। সেখানে ঠিক হয় পশ্চিমবঙ্গসহ যেকটি রাজ্য তরল অক্সিজেন তৈরি করে, তারা গোটা ভারতে সরকারি অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন সাপ্লাই করুক। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশানকে নজর রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন ব্যবহার হয় স্টিল, লোহার মতো ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।