মোঃ রাকিব হাসান : বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ৩১শে মার্চ, বিকাল ৪ ঘটিকায়, “নারী জাগরণে শিক্ষাবিদ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের ভুমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পল্টন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে দেশব্যাপী বিশেষ অবদান রাখার জন্য আলোকিত মানুষদের “বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত গোল্ডেন এওয়ার্ড-২০২১” প্রদান করেন। শিক্ষা,সাংস্কৃতিক, রাজনীতিসহ মোট ৫ টি ক্যাটাগরিতে ৪ টি এওয়ার্ডস দেওয়া হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী (হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট)। প্রধান আলোচক ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওয়াসি উজ্জামান লেলিন। স্বাগত বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম চুন্নু। শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এম. এইচ. আরমান চৌধুরী, ফেরদৌসী আক্তার নদীসহ আরও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পীরজাদা শহিদুল হারুন বলেন, বেগম রোকেয়া নারী সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা ইতিহাসে চিরদিনই স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, প্রতিভা ও বিচক্ষণতায় উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, নারীর ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
উক্ত সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওয়াসি উজ্জামান লেলিন বলেন, নারীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবদান অনস্বীকার্য।
ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে বেগম রোকেয়া নারী জাতির মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্র পরিচালনা, রাজনীতি, চাকরি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রে এখন নারীদের পদচারণা রয়েছে।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য অনুষ্ঠানে দৈনিক সমাচারের সম্পাদক আবু তালেব কে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সম্পাদকের পক্ষে এওয়ার্ড গ্রহণ করেন দৈনিক সমাচারের সহকারী সম্পাদক সাধন চন্দ্র মন্ডল। পুরষ্কার গ্রহণকালে তিনি বলেন,মূলত বেগম রোকেয়ার জীবন ও তার আদর্শ বাস্তবায়নেই এ দেশের নারী সমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলা সম্ভব। তারা বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নারী সমাজকে নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পুরষ্কার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি ই মানুষের কর্ম তৎপরতা বাড়িয়ে দেই। নিজের দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে কিছু করতে পারার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।