গরুর মাংসের দাম ৫৫০ চান ব্যবসায়ীরা, নির্ধারণ বৃহস্পতিবার

গরুর মাংসের দাম ৫৫০ চান ব্যবসায়ীরা, নির্ধারণ বৃহস্পতিবার
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গরু, ছাগল ও অন্য পশুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হবে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হবে বলে।তবে ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন দেশি গরুর মাংস প্রতিকেজির মূল্য ৫৫০ টাকার মধ্যেই সীমিত রাখতে।বুধবার (৩১ মার্চ) মাংসের দাম নির্ধারণে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও পরবর্তীসময়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহামদ্দ সেলিম রেজা এতে সভাপতিত্ব করেন।সভায় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, আমরা মাংস ব্যবসায়ীরাও চাই মাংসের দাম যেন আরও কম থাকে। আমরা চাই এবার দেশি গরু প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা, বিদেশি গরু ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা এবং ছাগল-ভেড়া ৭০০ টাকার মধ্যে রাখতে।তবে বেশ কয়েকটি কারণে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না বলে অভিযোগ করেন এই মাংস ব্যবসায়ী। অভিযোগ তোলেন খোদ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে।রবিউল আলম বলেন, আমি মাংস ব্যবসায়ীদের নেতা হলেও কোনো দোকানে মাংসের দাম নির্ধারিত হারে না রাখলে পদক্ষেপ নেওয়ার আইনি এখতিয়ার আমার নেই। গাবতলী পশুর হাটে আমাদের জন্য একটি অফিস বরাদ্দ আছে। কিন্তু সেটি বেদখল হয়ে আছে। ফলে আমাদের সংগঠন থেকে দাম মনিটরিং করতে একটা বসার স্থান তো লাগবে, সেটি নেই।
‘সিটি করপোরেশন গাবতলীর পশুর হাট এবং অনেক বাজার অনেক দামে ইজারা দিয়ে রেখেছে। ফলে মাংসের দাম বাড়ে। এসব জায়গায় কখনও ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কোনো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় না। সিটি করপোরেশন তাদের তিনটি জবাইখানা এখনও চালু করতে পারেনি, কেন? সিটি করপোরেশন যদি এতকিছু করতে না পারে তাহলে আমি একা কীভাবে কী করবো?’দেশে মাংস ব্যবসায় বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রবিউল বলেন, প্রতিবছর পাচার করা গরু আনতে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। অথচ দেশে এক হাজার ৫শ জনের মতো চর আছে। এর অন্তত ১৫টি চরেও পশু পালন করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাংস রপ্তানি করা যাবে।রবিউল আলমের এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আর সেখানে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নেবো। কোথাও আইনের ব্যত্যয়  হলে দেখবো।ভার্চ্যুয়াল এই সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসি সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকসহ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

১৬৯ কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করলো রাসিক

মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি-৩ পরকল্পের চেক বিতরণ