রোববারের এ হরতালের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। এটাকে কেউ যদি সরকারের দূর্বলতা মনে করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে তারা বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্তে রাস্তায় নেমেছিলো, পরে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এবারও বিএনপি-জামায়াত তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এই ইস্যু বিহীন হরতালে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।এদিকে হেফাজতের হরতালের দিন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রাজপথে থাকবে বলে জানা গেছে। এই হরতালকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেবে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হলে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী আছে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী সম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ৫০ বছর ধরে এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। এখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত রয়েছে। এদেরকে ছাড় দেওয়া যাবে না। এদের শুধু প্রতিহতই নয় মুল উৎপাটন করতে হবে। হরতালের নাশে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তো আছেই, ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই হরতাল প্রতিহত করবে।