ঢাকা: দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে বিএনপি উগ্র মৌলবাদীদের রাস্তায় নামিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক উগ্র মৌলবাদীকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথযাত্রা থামিয়ে দেওয়া যাবে না।আপনারা ভুল পথে রাজনীতি করছেন। ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছেন। জনগণ রক্ত দিয়ে এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়েছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সুযোগ নেই।শনিবার (২৭ মার্চ) দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ শহিদ মিনারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘স্বল্পোনত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ কর্মসূচির’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আসবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। এটাই প্রতিবেশীর প্রতি তার দায়িত্ববোধ। বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে সম্মানিত করার জন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তার প্রশংসা না করে, তার সমালোচনা করলেন। তাদের যে সাঙ্গ-পাঙ্গ মৌলবাদী চক্র তাদেরকে মাঠে নামালেন।দেশে অঘোষিত কারফিউ চলছে বিএনপি মহাসচিবের এ মন্তব্য প্রসঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল। আমৃত্যু তিনি সান্ধ্য আইন দিয়ে দেশ শাসন করেছিলেন। সেই কথা মির্জা ফখরুলরা বলেন না। অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশকে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্ব ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে ভালো শাসক আর নেই। জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর দেশপ্রেম ছিল না মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকের বিরোধিতার মুখে কৃষিতে ভর্তুকি দিয়েছেন। এখন তিনি বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু করছেন। কেউ এ সাহস দেখাতে পারে নাই। কারণ তাদের মাঝে দেশপ্রেমের ঘাটতি ছিল। তারা দেশের মানুষের মঙ্গল চান নাই। তারা এ বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক তা চায় না। তারা পোড়া মাটির দেশ তৈরি করতে চেয়েছিল।তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য সারা পৃথিবীর সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানরা আমাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। আঞ্চলিক রাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজে সশরীরে এসে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে। এই অগ্রযাত্রার উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সেই জায়গায় অবস্থান করেছে বলেই আমাদের এই অর্জনগুলো সম্ভব হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বোচাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: জাফরুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুস সবুর প্রমুখ।