বইমেলা থেকে: কবির ভাষায়, স্বাধীনতা মানে বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ; চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ। সত্যিই তাই।স্বাধীণতার প্রহর যে এসে গেছে, তা এখন প্রাণের বইমেলার দিকে তাকালেই বোঝা যায়!শুক্রবার (২৬ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার নবম দিন। একইসঙ্গে এই দিনটি আজ বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শোকের এবং আনন্দের। আজ স্বাধীণতার সুবর্ণজয়ন্তী। বইমেলার দ্বিতীয় ছুটির দিন।এদিন সকালে ১১টায় খুলে দেওয়া হয় স্বাধীণতা প্রহরের বইমেলার দ্বার। তখন থেকেই একটু একটু করে শত শত মানুষ ভিড় জমায় সোহরাওয়ার্দী আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। সময় যত গড়ায়, বইমেলায় মানুষের আগমন ঘটে ততো বেশি। তরুণ শিক্ষার্থীরা নিত্য নতুন বই হাতে নিয়ে গাছের ছায়ায় দাড়িয়ে জমিয়ে তোলে আলোচনা। তা ছড়িয়ে যায় বইমেলার চায়ের আড্ডাতেও।একেতো শুক্রবার অন্যদিকে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র ছুটি। যতই করোনার চোখ রাঙানো থাকনা কেনো মানুষ মিলেছে প্রাণের স্পন্দনে। দলে দলে বইপ্রেমীরা ছুটে আসছে অমর একুশে বইমেলায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের গন্তব্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি। সকলের হাতে হাতেই বই। বিকেলে হয়তো পাঠককূল দেখা পাবেন তার প্রিয় লেখকদেরও।আজকের বইমেলার চিত্রটা এমনই হবে বলে আশা করছেন লেখক-প্রকাশক থেকে শুরু করে সাধারণ পাঠকরাও। সবার প্রত্যাশা আজ পুরোপুরি জমে উঠবে ছুটির দিনের বইমেলা।এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশকরা বলেন, এবার মেলার দ্বিতীয় দিনই ছিল শুক্রবার। সেদিনও মেলা মোটামুটি জমে ওঠেছিল। আজ আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ছুটির দিন। আশা করছি আজ মেলা পুরোপুরি জমে উঠবে। সকাল থেকেই পাঠকের আনাগোনায় মুখর হয়ে আছে প্রাঙ্গণ। পরিস্থিতি এবার একটু ভিন্নরকম হলেও আমাদের অভিজ্ঞতা বলে মেলায় আজ পাঠকের ব্যাপক সমাগম হবে।তারা বলেন, যারা মেলায় আসবেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। অবশ্যই মাস্ক পরে মেলায় আসার।আর পাঠকরাও বলছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখাতে বইমেলার থেকে ভালো জায়গা বা এখানে কাটানো একটু সময় অথবা একটা বই কিনে নেওয়ার থেকে ভালো আর কি হতে পারে!